লালপুর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নির্বাচিত পরিষদ, ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ
একনজরে লালপুর
শত বছরের পুরানো বলাই কানাই এর বট বৃক্ষ। এক সময় এই গাছের নীচে জমত ঐতিহৃবাহী
বিশাল মেলা--সৌজন্যে-বাঙ্গালীর একুশে
|
লালপুর ইউনিয়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত আশুগঞ্জ উপজেলার
একটি ঐতিহৃবাহী ইউনিয়ন হল লালপুর। লালপুরের রয়েছে প্রায় একহাজার (১,০০০) বছরের ইতিহাস।
ধারনা করা হয় আজ থেকে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার বছর পূর্বে মেঘনা নদীর এই অংশের উপর
চর জাগতে শুরু করে।কালের বিবর্তনে চরের বিস্তার বাড়ার সাথে সাথে নবীনগর, কুমিল্লা,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার; চান্দুরা, সুলতানপুর, সরাইল, কালিকচ্ছ, আড়াইসিধা এবং মেঘনার পশ্চিমের
রায়পুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই ইউনিয়নের আদি পুরুষগণ জেগে ওঠা চরে বসতি স্থাপন
করতে শুরু করে। বর্তমানে লালপুর ইউনিয়নের প্রধান গ্রাম হল ৪টি। যেমন- (১) চর লালপুর
(২) হোসেনপুর (৩) লামা বায়েক এবং (৪) বায়েক। এই ৪টি গ্রামের ভিতরেও রয়েছে ছোট ছোট গ্রাম
বা পাড়া। এই গ্রামগুলোতে ৪৫টিরও বেশি বিভিন্ন গোত্র, গোষ্ঠী বা বংশের লোকজনের বসবাস
রয়েছে। ইউনিয়নের প্রবিণ ও ভিজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে প্রায় সাতশত (৭০০)
বছর পূর্বে লালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহৃবাহী এবং উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন গোষ্ঠী
বা বংশের আদিপুরুষগণ বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ইউনিয়নটিতে
মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের আন্তরিক ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান একটি দৃঢ় সামাজিক
সুসম্পর্কের উপর প্রতিষ্ঠিত। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে উপজেলার মধ্যে আশুগঞ্জ বাজারের
পরই লালপুর বাজারের অবস্থান। এই বাজারে প্রায় সাতশত (৭০০) দোকাট-পাঠ, বেশ কয়েকটি মার্কেট,
একটি হসপিটাল, বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি শুটকির খেড় এবং অনেকগুলো
শুটকির আড়ৎ রয়েছে। লালপুরের শুটকি ইন্ডিয়াতে রপ্তানী হয়ে থাকে।
জেগে ওঠা চরে লালপুর বাজারের একাংশ-সৌজন্যে-বাঙ্গালীর একুশে
|
একনজরে লালপুর
লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ: সৌজন্যে-বাঙ্গালীর একুশে |
No comments:
Post a Comment