Pages

  • কন্ট্রোল প্যানেল
  • সম্পাদক
  • প্রকল্প
  • শিক্ষা
  • ব্যক্তিত্ব
  • ইনকাম
  • ফটো গ্যালারি
  • মতবাদ
  • মোবাইল
  • রাজতন্ত্র

    রাজতন্ত্র: রাজতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা




    যে শাসন ব্যবস্থায় কোনো শাসক বংশানুক্রমিকভাবে শাসন করার সুযোগ পায় বা শাসন কার্য পরিচালনা করে তাকেই রাজতন্ত্র বলা হয়। রর্তমান বিশ্বের উল্লেখযোগ্য রাজতান্ত্রিক দেশগুলো হলো: ১. সৌদী আরব ২. কুয়েত ৩. কাতার ৪. বাহারাইন ৫. ওমান ৬. জর্দান ৭. সংযুক্ত আরব আমিরাত ৮. মালয়েশিয়া ৯. ভুটান ১০. সুইজারল্যান্ড ১১.  মরক্কো ১২. ব্রুনেই ১৩. কম্বোডিয়া ১৪. বেলজিয়াম ১৫. ডেনমার্ক ১৬. স্পেন ১৭. নেদারল্যান্ড ১৮ থাইল্যান্ড
    রাজতান্ত্রিক দেশের শাসককে রাজা বলে। রাজা শব্দের প্রতি শব্দগুলো হল; শাহ, সুলতান, সম্রাট, মহারাজ ইত্যাদি এবং রাজতান্ত্রিক দেশের শাসক নারী হলে তাকে রাণী বলা হয়।
    বিস্তারিত: রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় একটি দেশের প্রধান শাসন কর্তা হল রাজা। রাজার মৃত্যুর পর তার সন্তান হবে পরবর্তী রাজা। এই ভাবেই চলে আসছে বিশ্বে রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। রাজার ছেলে রাজা হবে এবার সে যোগ্য হোক বা না হোক তা দেখার প্রয়োজন নেই। রাজা হয়ে যাওয়ার পর সে যেভাবে খুশি রাজ্য চালাতে পারবে। রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজ্যের সবকিছুর মালিক হয় রাজা। প্রজা বা জনগণ রাজার উপর কোনো কথা বলার কোনো অধিকার রাখে না বা বলতে পারে না-“হামুশ” নামক শব্দ দ্বারা সকল বাক শক্তিকে স্তদ্ধ করে দিতে পারেন রাজা। রাষ্ট্র বা রাজ্য চালাতে কারো কাছে তার কোনো জবাব দিহীতা নেই, রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজ্যের সকল আইন চলে রাজার ইচ্ছা মত এবং রাজা নিজে থাকে সকল আইনের উর্ধ্বে। রাজাই রাজ্যের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক।
    মধ্যযুগীয় রাষ্ট্রসমূহের বহুল প্রচলিত একটি শাসন ব্যবস্থার নাম রাজতন্ত্র। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের অনেক দেশের রাজতন্ত্রের পতন হতে থাকে রক্ত ক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে। অনেক আলোচনা, সমালোচনা, বির্তক ও নানামুখী চাপের মধ্যেও বেশ কয়েকটি দেশের শাসন ব্যবস্থায় আজও রাজতন্ত্র বহাল আছে। রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সকল সম্পদ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য রাজা এবং রাজ পরিবারের ক্ষমতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দরকার হয়। সেই কাজটি সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনিক কাঠামো ও আইন বাস্তবায়ন ব্যবস্থায় বিভিন্ন বাহিনী ও কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়। ক্ষমতাকে সুসংহত করার লক্ষ্যে রাজা, রাজ্য শাসনের জন্য রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ে নিজ পরিবারের সদস্য ও বিশ্বস্ত অনুসারীদের এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে  নিয়োগ দেন। ফলে রাষ্ট্রের গোটা শাসন কাঠামোকে এমনভাবে গড়ে তুলা হয় যাতে রাজতন্ত্রের সাধারণ জনগণ বা প্রজাগোষ্ঠী তাদের শ্রম ও কর্মদক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে শুধু মাত্র রাজার বা রাজপরিবারের সম্মানের স্বার্থে।…..

    No comments:

    Post a Comment