আইএস হতে যাচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী
অস্ত্র যা নিয়ন্ত্রণ করবে
গোটা বিশ্ব
বাঙ্গালীর একুশে প্রতিনিধি: ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ মিশন পরিচালনার ইস্যুতে বিশ্বের
রাষ্ট্রীয় সমর্থন নিয়ে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র সমগ্র বিশ্বে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
করেছে কার্যকরিভাবে। এখন বিশ্বায়নের পরিপ্রেক্ষিতে আধিপত্য ধরে রাখার পের্টান পরিবর্তিত
হয়েছে। তাই নতুন ইস্যু নিয়ে সমগ্র বিশ্বের রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের অসীম শক্তিশালী
অস্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আই এস (ইসলামিক ষ্ট্রেট)। আসলে আই এস মিশন একটি চলমান
পক্রিয়া হিসেবে পরিচালনা করা হবে এবং তা যে কোনো সময় বহুরূপীক, বহুমাত্রিক এমনকি বিচিত্র
রূপ ধারণ করবে। পেন্টাগন আপাতত তাদের বিবৃতিতে, আই এস নিয়ন্ত্রনে তিন বছরেরও বেশি সময়
লাগবে বলে একটি পরিকল্পনার খসরা ঘোষণা করেছে। এর জন্য বাৎসরিক ব্যয় দেখানো হয়েছে এক
হাজার কোটি ডলার। রহস্যজনকভাবে হলেও এর ফলে বর্তমানে ঋণর্নিভর মার্কিন অর্থনীতির বিধ্বস্থ
অবস্থা আর থাকবে না এবং বর্তমানে তা মোকাবেলা করার এটিই একমাত্র বিকল্পহীন পথ। আই এস’কে
বর্তমানে দাড় করানো হচ্ছে সিরিয়া ভিত্তিক যা অচিরেই গোটা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারত-পাকিস্তান-ইরান বিভিন্ন ইস্যুতে সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার হুমকি ধামকি এবং চীনের
সামরিক বিবৃতি এই পরিকল্পনারই অংশ, তা বিচ্ছিন্ন করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আই এস মিশনে
বিশ্বের এ যাবৎ কালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফিফথ জেনারেশান যুদ্ধ বিমান এফ-২২ ব্যবহারের
অনুমোদন চুড়ান্ত করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ও প্রতিরক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরিন সূত্র
থেকে জানা গেছে, এই বিমানের প্রতি ঘন্টার অপারেশন খরচ ৬৮ হাজার মার্কিন ডলার। কিন্তু
যুদ্ধের ব্যয়ভার বা খরচের উৎস সম্পর্কে মুখ খুলতে নারাজ হোয়াইট হাউস। ফরেন অ্যাফেয়ার্সের
সূত্র মতে, আই এস বিরোধী অপারেশনে ৪৭ তোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, ইউ এস এস আরলেগ বার্ক এবং
ইউ এস এস ফিলিপিন যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহৃত হবে। পারস্য উপসাগর ও লোহিত সাগরে মোতায়েন করা
যুদ্ধ জাহাজ থেকে এসব অপারেশন চালানো হবে। এগুলোর একেকটির হামলার ব্যায় ১৫.৯ লাখ ডলার
অর্থাৎ দৈনিক ব্যায় ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অন্যদিকে ড্রোন হামলার জন্য প্রতি ঘন্টার ফ্লাইটে
গুনতে হয় ৩.৬৯৭ লাখ ডলার এবং এফ-১৬ বিমানের জন্য প্রতি ঘন্টায় ২২.৫১৪ লাখ ডলার খরচ
হবে। আই এস বিরোধী অভিযানের নির্ধারিত এই বিপুল পরিমাণ বাজেট নিয়ে হোয়াইট হাউসের স্পষ্ট
বক্তব্য না থাকা প্রমাণ করে তারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা এবং রাষ্ট্রের ওপর চাঁদাবাজী
করবে।
আমরা যখন গোনাই বিবির গান শুনছি গভীর মনযোগ দিয়ে, ফেইস বুকে
মূল্যবান সময় ব্যায় করছি বিভিন্ন ফালতু বিষয় ও এডাল্ট কনটেন্ট নিয়ে আর অলস সময় পার
করছি, বিনোদনের নামে দেশীয় ও ভারতীয় নাট্যকারদের বহু কষ্টে-মষ্টে সৃষ্ট চাটুকারি, যৌন
সুরসড়ি আর মীরজাফরী মার্কা নাটক, পারিবারিক ও সামাজিক মান অভিমান আর দায়হীনতার মধ্যদিয়ে
উপভোগ করে; তখন তারা আমাদের এই কার্যক্রম, গোনাই বিবির গান ও আচরণকে ধন্যবাদ দিয়ে আমাদের সবকিছু দখল ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা পাকা পুক্ত করছে অতি সুক্ষ্ন গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের অবরোধ নাটক আই এস এর বহু রূপীক,
বহু মাত্রিক ও বিচিত্র রূপেরই একটি প্রকাশিত মাত্রা। অতি সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক
অবরোধের বিষয় এবং কশমির প্রসঙ্গে পাকিস্তান-ভারত-চীন-ইরানের যুদ্ধ নাটকটিও ওয়াশিংটন
কর্তৃক আই এস নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার একটি ত্রিমাত্রিক রূপ। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক
ও আর্থিক লেনদেন এবং কাশমির প্রসঙ্গে পর রাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে সতর্ক হতে বিভিন্ন রাষ্ট্র,
ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের অবহিত করে দেওয়া হয়েছে।
আই এস নিরমূল জোট বড়সড় করাই এখন মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির মূল কার্যক্রমে
পরিণত করা হয়েছে। নির্মূল জোটে এরই মধ্যে ৫৪টি দেশ যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে আবার মধ্যপ্রাচ্যের
৫টি আরব দেশ আই এস দমনের বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে। আই এস
মিশনে জাতিসংঘ ভুক্ত সকল রাষ্ট্রের সহযোগিতা বাধ্যতা মূলক করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
No comments:
Post a Comment