Pages

  • কন্ট্রোল প্যানেল
  • সম্পাদক
  • প্রকল্প
  • শিক্ষা
  • ব্যক্তিত্ব
  • ইনকাম
  • ফটো গ্যালারি
  • মতবাদ
  • মোবাইল
  • লালপুরের ইতিহাস ও ঐতিহৃ


    ইতিহাস ও ঐতিহেৃর লালপুর


    চরলালপুরের চরের দৃশ্য; এখনও চরলালপুরের পশ্চি পাশের মেঘনা নদীর বুকে চরের বিস্তার বাড়ছে। ছবিতে চরলালপুরের এমনই একটি দৃশ্য।– সৌজন্যে- বাঙ্গালীর একুশে ও স্বনির্ভর কম্পিউটার স্কুল।

    মানুষের রক্তে রঞ্চিত মেঘনার পানির  
    লাল রং থেকেই নামকরণ হয় লালপুরঃ
    বাঙ্গালীর একুশে রির্পোট :



    লালপুরের ইতিহাস বলতে লালপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ অংশই মেঘনা নদীর উপর জেগে ওঠা চর ধারনা করা হয় আজ থেকে প্রায় একহাজার (১০০০) বছর  পূর্বে মেঘনা নদীর এই অংশের উপর চর জাগতে শুরু করে চরের বিস্তার বাড়ার সাথে সাথে নবীনগর ,কুমিল্লা,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চান্দুরা, সুলতানপুর ,সরাইল কালিকচ্ছ,আড়াইসিধা, নদীর পশ্চিমের রায়পুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই ইউনিয়নের আদি পুরুষগণ এখানে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে লালপুর  ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য বংশের আদি পুরুষগণের বসবাসের যে তথ্য সূত্র পাওয়া যায় তা থেকে এটি স্পষ্ট যে পাঁচ থেকে সাত শত (৫০০-৭০০) বছর পূর্বে তারা লালপুরে বসতি গড়ে তুলেছিলেন তখনও এই স্থানের নাম লালপুর  হয়নি তা শরীফপুরের একটি (লামা ) বাটি অংশ হিসেবেই এর পরিচিতি ছিল লালপুরের আদি বাসিন্দাদের উত্তর সূরী ডা: নারায়ণ চন্দ্র আর্চাযের ছেলে ,লালপুর বাজারের এস, কে নিকেতন এর প্রোপাইটর
    দিলিপ  কুমার  আর্চাযের দেওয়া তথ্য মতে চর লালপুরের নামকরণ করা হয়েছে্ আজ থেকে প্রায় দুই শত (২০০) বছর র্পূবে তখন মেঘনা নদীর পূর্ব পাশে বড় ধরনের কোনো হাট বা বাজার ছিল না মেঘনার পূর্ব পাশের মানুষ সাপ্তাহিক কেনা কাটা  এবং ব্যবসা বানিজ্যের কাজের জন্য নদীর পশ্চিম পাশের বাজারে ( বর্তমান ভৈরব বাজার) গিয়ে নিজেদের হাট বাজার এবং ব্যবসা বানিজ্য করত নদীর পূর্ব  পাশটি ( যা বর্তমানে আশুগঞ্জ নামে প্রতিষ্ঠিত ) ছিল তখন দুইটি পরগনার অধীন তবে বেশির ভাগ অংশই ছিল সরাইল পরগনার অধীন  এবং  বর্তমান লালপুর এলাকাটি ছিল বর্দাখাত পরগনার অর্ন্তভূক্ত তখন সরাইল পরগনার জমিদার ছিল বাবু আশুতুষ রায় আর মেঘনা নদীর পশ্চিমের বিশাল এলাকা জুড়ে বেশ কয়েকজন জমিদার ছিল যেমন () ভৈরব বাবু () কালি বাবু () জগন্নাথ বাবু () সম্ভু বাবু এবং কমল বাবু
    তখন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার জমিদার ভৈরব বাবুর নাম অনুসারেই থাকে মেঘনার পশ্চিম পুর্ব পারের বিশাল এলাকার ব্যবসা বানিজ্যের একমাত্র কেন্দ্রস্থল  তখন ভৈরব বাজার হওয়ায়  মেঘনার পূর্ব পাশের লোকজন ভৈরব বাজারে তাদের ব্যবসা বানিজ্য সংক্রান্ত সকল কর্মকান্ড  পরিচালনা করত আঞ্চলিক অবস্থানগত সুবিধার কারণে মেঘনার পশ্চিম পাড়ের জমা খাজনা জিনিসপত্র দরদাম নিয়ে মেঘনার পূর্ব পাড়ের লোকজনের সাথে প্রায়ই উগ্র আচার ব্যবহার অত্যাচার করত এক সময় এই উগ্র আচারনের জের ধরে মেঘনার দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হানাহানির সৃষ্টি হয় সেই সময় দুই পাড়ের মানুষ চরম আক্রোশে যেখানে যাকে পেয়েছে মেরে মেঘনাতে ফেলে দিয়েছে মেঘনার পানির স্রোতে লাশগুলো দক্ষিণ দিকের চরে গিয়ে জেগে ওঠে এবং আশ পাশের পানি লালে লাল হয়ে যায় সেই থেকেই এই চরের নাম পড়ে চর লালপুর এবং চর লালপুর থেকেই বর্তমান লালপুর ইউনিয়নের নামকরণ


    [তথ্য আপলোডের কাজ চলমান আছে 
    অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন-ধন্যবাদ]

    নদীর বাঙগা গড়ার চরলালপুরের নদীর একাংশের দৃশ্য, নদীর পাশ দিয়ে আশুগঞ্জ থেকে চরলালপুর যাওয়ার রাস্তা। সৌজন্যে বাঙ্গালীর একুশে ও স্বনির্ভর কম্পিউটার স্কুল


    No comments:

    Post a Comment