Pages

  • কন্ট্রোল প্যানেল
  • সম্পাদক
  • প্রকল্প
  • শিক্ষা
  • ব্যক্তিত্ব
  • ইনকাম
  • ফটো গ্যালারি
  • মতবাদ
  • মোবাইল
  • বিশেষ প্রতিবেদন-১



    কেমন ছিল অলী-আল্লাহদের জীবন
    কেমনভাবে আজও করছে তাঁদের স্মরণ
    যারা তাঁদের ভক্তজন। 


    আশুগঞ্জ উপজেলার পীর-মোর্শেদ-সাধকদের খানকা-মাজার এবং আস্থানা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন।  উক্ত প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ বাঙ্গালীর একুশের সেপ্টেম্বর -২০১৫ সংখ্যাং প্রকাশিত হয়েছিল।
    বাঙ্গালীর একুশে প্রতিবেদন:  সূফী সম্রাট ও দেওয়ানবাগী  উপাধিতে খ্যাত, দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা, “মুহাম্মদী ইসলাম” মতবাদের প্রবক্তা, সূফী বাদের প্রচারক ও ইসলাম ধর্মের গবেষক, লেখক ও প্রবিত্র কোরানের আলোকে তসাউফ বা ধ্যান সাধনার শিক্ষা গুরু হযরত মাওলানা মাহ্বুব-এ-খোদা (মাঃ আঃ) এর বক্তব্য এবং সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী ধর্মীয় সংস্কার নামক গ্রন্থ সহ উনার বিভিন্ন গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা তিন শ্রেণির অলি-আল্লাহ সম্পর্কে জানতে পারি। এই তিন শ্রেণির অলী-আল্লাহ হলেন (১) হাদী শ্রেণির অলী-আল্লাহ (২) মাজ্জুব শ্রেণির অলী-আল্লাহ এবং (৩) দেশ রক্ষক অলী-আল্লাহ।
    হাদী শ্রেণির অলী-আল্লাহ: যে সমস্ত অলী-আল্লাহগণ নিজের আত্মা শুদ্ধ করতঃ নিজ নফসের সাথে পরিচয় লাভের মাধ্যমে আল্লহর সান্নিধ্য বা নৈকট্য লাভ করে শরীয়ত, তরীকত, মারেফত ও হাকীকত – এই চারটি বিদ্যায় পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা অর্জনের পর মানব জাতিকে পাপের পথ থেকে ফিরিয়ে এনে আল্লাহর সানিধ্য বা আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকেন, তাদেরকে হাদী শ্রেণির অলী-আল্লাহ বলা হয়। নবুয়তের যুগে নবী-রাসূলগণ যে কাজটি করতেন বেলায়েতের যুগে হাদী শ্রেণির অলী-আল্লাহগণ হেদায়েতের গুরু দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানব জাতিকে সত্যের সন্ধান দিয়ে থাকেন।
    মাজ্জুব শ্রেণির অলী-আল্লাহ: মাজ্জুব শব্দের আভিধানিক অর্থ পাগল বা দেওয়ানা। এখানে মাজ্জুব বলতে ঐ সকল অলী-আল্লাহদের বোঝানো হয়েছে, যারা আল্লাহর এশকের সাগরে এমনভাবে ডুব দিয়েছে যে, আর কোনো দিনই ভেসে উঠতে পারেনি। তারা তাদের মাশুক ব্যতীত এক মুহূর্ত বেঁচে থাকাকেও অসয্য মনে করে থাকে। মাজ্জুব শ্রেণির অলী-আল্লাহ- আল্লাহদের মানে এবং শানে হযরত রাসূল (সঃ) বলেন, এলো চুল, ময়লা বসনের এরূপ বহু অলী-আল্লাহ আছেন যাদেরকে মানুষ দরজা হতে তাড়িয়ে দেয এবং তাদের কোনো পরোয়া করে না, অথচ আল্লাহর নিকট তাদের এত মর্যাদা যে, তারা কোনো বিষয় আল্লহর কসম করে বললে  আল্লাহ তাদেরকে কসমমুক্ত করে দেন। অর্থাৎ তাদের দাবি মেনে নেন।”
    দেশ রক্ষক অলী-আল্লাহ: এই শ্রেণির অলী-আল্লাহগণ দেশ রক্ষার কাজ করে থাকেন। তারা আমাদের সেনাবাহিনীর মত কাজ করেন। সেনাবাহিনীর যেমন বিভিনন পদবী বা র‌্যাঙ্ক আচে, তদ্রুপ দেশ রক্ষক অলী-আল্লাহদেরও বিভিন্ন র‌্যাঙ্ক বা পদবী আছে। সমস্ত দেশ রক্ষক অলী-আল্লাদের প্রধানকে “কতুবুল আখতাব” বলা হয়। তার অধীনে দুইজন ‘গাউস’ থাকেন। গাউসগণ কুতুবুল আথতাবের দুই পার্শ্বে থাকেন। আবার তাদর অধীনে চারজন ‘আওতাদ’ থাকেন। তারা সৃষ্টি চগতের চারকোণে সৃষ্টি জগতেকে কায়েম রাখছেন। তারেদর অধীনে ৭জন ‘আবদাল’ থাকেন। তাদের অথীনে ৭০জন ‘আখিইয়ার’ থাকেন। তাদের অধীনে ৩০০জন নুজাবা নুকাবা থাকেন। আবর প্রত্যেক নুজাবা-নুকাবার অধীনে অসংখ্য ‘কুতুব’ থাকেন। উল্লেখিত দেশরক্ষক অলী-আল্লাহগণ দেশরক্ষার কাজ করে থাকেন। দেশরক্ষক অলী-আল্লাহ ব্যতীত দেশ রক্ষা হতে পারে না এবং পুথিবীর এমন কোনো স্থান নেই যেখানে দেশ রক্ষক অলী-আল্লাহ নেই। দেশ রক্ষক অলী-আল্লাহ ব্যবতীত পুথিবী এক মুহূর্তও কায়েম থাকতে পারে না। ইহা অত্যন্ত রহস্যাত্মক বিয়য়।
    আশুগঞ্জ উপজেলায় অনেক অলী-আল্লাহগণের মাজার রওজা, মাজার এবং দরবার শরীফ রয়েছে। যার সঠিক সংখ্যা নিরোপন করা হয় নি। শুধু মাত্র ঝাঁকজমক পূর্ণ মাজারগুলি সম্পর্কেই মানুষ পরিচিত। বাঙ্গালীর একুশে’র এই বিশেষ প্রতিবেদনটির উদ্দেশ্য হল সবকগুলি মাজার এবং দরবার শরীফকে চিহ্নত করে ঐ সমস্ত সাধক ও অলী-আল্লাহদের সাধনা লদ্ধ জ্ঞান ধারা মানুষ কে যে শিক্ষা এবং উপদেশ সমূহ দিয়েগেছেন তা সংরক্ষণ করা এবং বর্তমানে মাজার গুলি কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং মাজার গুলি কি অবস্থায় আছে তার সচিত্র অবস্থাটা তোলে ধরা। উপজেলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে এবং তা ধারাবাহিকভাবে পত্রিকার মাধ্যমে প্রতিবেদন াকারে প্রকাশ করা হবে এবং আমাদের ওয়েব সাইটে তা নিয়মিতভাবে পাবলিষ্ট এবং আপডেট করা হেব।
    আশুগঞ্জ উপজেলার মাজারগুলিকে আমরা ৩টি ভাগে বিভক্ত করে প্রতিবেদনটি সাজিয়েছি যথা: (১) দরবার শরীফ-যিনি দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা উনি নিজেই বর্তমান আছেন এবং সবকিছু পরিচালনা করছেন। (২) খেলাফত প্রাপ্ত একজন গদিনিশিন পীর দ্বারা পরিচালিত মাজার যেখানে  নিয়মিত ভক্তগণ আসা যাওয়া করেন এবং ধর্মী শিক্ষার পেয়ে থাকেন। এবং (৩) খাদেম বা কমিটি দ্বারা পরিচালিত মাজার যেখানে খাদেম বা কমিটি শুধু মাত্র মাজারটি দেখাশুনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।

    No comments:

    Post a Comment