সম্পাদকীয়
ট্রাম্প নামক মহাতংকে আমাদের যা করনীয়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পন্ডিত ও মিডিয়া থেকে শুরু করে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ইতিহাস বিশ্লেষকরা ট্রাম্পকে নানা উপাধিতে আখ্যায়িত করছেন। কেউ বলছেন পাগল, কেউ বলছেন মাতাল, কেউ বলছেন অনভিজ্ঞ, কেই বলছেন রক্ষণশীল, কেউ বলছেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে অযোগ্য টিকবেনা বেশি দিন, কেউ বলছেন তিনি বড় ধরনের কেলেংকারী ঘটাবেন আবার কেউ বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় ‘মেটার অপ জুকস’ মানে হাসির পাত্র। ট্রাম্পকে নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে বিশ্বের সর্বত্র এবং এর বাস্তব সম্মত প্রাসঙ্গিক অনেক কারণও রয়েছে। বলা হয়ে থাকে বিশ্বের এমন কোনো রাষ্ট্র নেই, যে রাষ্ট্রের নাগরিকদের আমেরিকায় বসবাস নেই। মার্কিন হোমল্যান্ড দপ্তরের এক হিসেব মতে; বিশ্বের অন্যন্যা রাষ্ট্রের অবৈধ নাগরিক যারা বসবাস করছে আমেরিকায় তাদের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ‘ইমিগ্রেন্ট’ অফারের মাধ্যমে এই রাষ্ট্রটি বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে কর্মক্ষম মেধাবিদের বাঁচাই করে সেই দেশে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে মেধাবী ও কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। দেশটির হোমল্যান্ড দপ্তর এই গ্রীণ কার্ডধারী বৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা এখনও প্রকাশ করে নাই। অবৈধ অভিবাসী ১ কোটি ১০ লাখের সাথে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যাটা যুক্ত হলে মোট অভিবাসীর সংখ্যাটা অবশ্যই আরো বাড়বে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির নতুন আদেশ অনুসারে; যে কোনো সময়, যে কোনো একটি অভিযোগে, যে কোনো অভিবাসী গ্রেপ্তার হতে পারে। ফলে অভিবাসীদের মাঝে এখন বিরাজ করছে এক মহাতংক। বর্তমানে তাদের প্রত্যেকের চলা- ফেরা, কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন ধারাবাহিক মার্কিন পর রাষ্ট্রনীতীর তোয়াক্কা না করে বিশ্বের যে কোনো দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে, যা-তা ব্যবহার করছে। ফলে পররাষ্ট্র নীতির দিক দিয়েও অতি মার্কিন নির্ভর বিশ্বের, অন্যন্যা রাষ্ট্রগুলোর মাঝেও বিরাজ করছে আরেক মহাতংক। এই মহাতংক ক্রমেই ঘণিভূত হচ্ছে, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রে ও সরকার প্রধানদের মাঝে। প্রশ্ন ? ট্রাম্প প্রশাসন কেন সৃষ্টি করছে এই মহাতংক ? গত কয়েকদিন পূর্বে এই প্রশ্নের সুষ্পষ্ট উত্তর এবং রহস্য উম্মুচিত হয়েছে ন্যাটোকে নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যে। ন্যাটোকে নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের মাধ্যমেই বেরিয়ে এসেছে অভিবাসীসহ বিশ্বব্যাপী মহাতংক সৃষ্টির আসল কারণ।
‘ন্যাটোভুক্ত দেশ পর্যাপ্ত চাঁদা বা নগদ টাকা না, দিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেল্টার দেবে না।’
চাঁদাবাজী ! বড় ধরনের লুট-পাট দ্বারা ট্রাম্প চাচ্ছে মার্কিন ভগ্ন অর্থনীতিকে মজবুত করতে। আর তাই লুণ্ঠনের মৃগয়া ক্ষেত্র হিসেবে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের (রিফুজি/ পরগাছা/ আবর্জনাদের) প্রথম টার্গেট করেছেন। বড় ধরনের লুট-পাটের জন্য যা প্রয়োজন তা হল মহাতংক। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বে সেই মহাতংক ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
এই অবস্থায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত হবে; ট্রাম্পের খপ্পরে না পরা। অতি মার্কিন নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা। এবং আমেরিকা থেকে নিজ দেশের মেধাবী পরগাছা, আবর্জনাদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা। নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি দেশপ্রেম, শক্তি সামর্থ, সৃজনশীল মেধা ও তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাড়ানো। এই কাজে যে রাষ্ট্র, সরকার এবং জাতি যতটুকু বিলম্ব করবে তাকে বা তাদেরকে ততটুকুই খেসারত দিতে হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি-২০১৭ঃ মঙ্গল বার
সম্পাদকীয়:
সম্প্রদায়, সাম্প্রদায়িক কথাটিকে আজ যে ভাবে নীতিবাচক হিসেবে এক শ্রেণির অকাল
পক্ক পন্ডিত মহাসয়গণ ব্যবহার করছেন তাতে আমাদের আপত্তি আছে। সম্প্রদায় বা সাম্প্রদায়িক
বিষয়টি আসলে কি? কেউ কি সম্প্রদায়ের উর্ধ্বে ? সম্প্রদায় বা সাম্প্রদায়িক বিষয়টি আসলে
কি ? কেউ কি সম্প্রদায়ের উর্ধ্বে ? সম্প্রদায়ের উর্ধ্বে কেউ নয়। সম্প্রদায় কোনো খারাপ
জিনিসও নয়। একটি সমাজ ব্যবস্থায় বৈধ পিতা-মাতার সূত্র ধরে যাদের জন্ম হয়েছে তারাই সাম্প্রদায়িক।
আর যারা এই নিয়মের বাহিরের কোনো সূত্র থেকে জন্ম নিয়ে এসেছেন, কেবল তারাই সম্প্রদায়ের
উর্ধ্বে থাকার দাবি করতে পারেন। গোত্র, গোষ্ঠী, বংশ, জাতি, ধর্ম সহ বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র
ও আদর্শে যারা বিশ্বাসী তারা সবাই সম্প্রাদয় ভুক্ত। আজকের বিশ্ব ব্যবস্থায় হরেক রকম
সম্প্রদায় রয়েছে যেমন- ধর্ম ভিত্তিক সম্প্রদায়, তন্ত্র ভিত্তিক সম্প্রদায়, জাতি ভিত্তিক
বা জন্মসূত্রে সম্প্রদায়। যুগের প্রয়োজনে বিভিন্ন আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার মাধ্যমে উন্নত
এবং শক্তিশালী সম্প্রদায় গড়ে ওঠতে পারে। মোট কথা গোটা বিশ্বটাই বিভিন্ন সম্প্রদায়ে
বিভক্ত। কোনো সম্প্রদায় যদি মনবতার আদর্শে শক্তিশালী হয়ে সমগ্র বিশ্বকে জয় করে নেয়,
মানব জাতির কল্যাণ ও মহত্তের দ্বারা তাহলে সেই সম্প্রদায়কে আমরা খারাপ বলতে পারি না।
জন্মগতভাবে জাতি হিসেবে আমরা বাঙালী অথ্যাৎ
বাঙ্গালী সাম্প্রদায়িক লোক। এবং মানবতার মহান আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আমাদের পূর্ব পুরুষগণ
সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই আমি
বাঙ্গালী সম্প্রদায়িক বলে নিজেকে গর্বিত মনে করি, কারণ বাঙালী জাতি সবসময় মানবতার,
শান্তির ও মুক্তির পতাকাবাহী। এই সাম্প্রদায়িক আদর্শেই আমি বিশ্ব মানবতার প্রতিযোগীতায়
বিজয় হতে চাই। .
জানতে চাই স্বদেশ ??
যাদের হৃদয়ে আজও বাজে
স্বাধীনতার লক্ষ শহীদের আর্তনাদ
এই বাংলার রাজনীতি থেকে
কেন নির্বাসিত তারা আজ।
জালিয়াতদেরকে তুমি নেতা
বানালে,
সাহেব সাজালে, টাই, কোট,
শ্যূট দিলে ,
আর কেড়ে নিলে
তোমার আদর্শের সন্তানদের
অধিকার,
ইহাই কি তোমার ন্যায় বিচার
?
তোমার স্বাধীনতা আনতে গিয়ে
যারা আর ফিরে আসেনি মায়েল
কুলে
বলবে কি স্বদেশ তুমি,
তাদের কিভাবে রাখলে ?
বাস্তবে দেখেচি বিখেরী কয়জন
তাদের স্মরণ করে স্বশ্রদ্ধ
চিত্রে,
আর সাহেবেরা ব্যস্ত তাদের
কেনা বেচা
আর লাভ লোকসানের রাজনীতিতে।
জানতে চাইনা স্বদেশ তুমি
কার !!
রুচি নেই জালিয়াত হবার,
সখ নেই সাহেব আর নেতা সাজিবার,
চাই না তোমার বিলেসী সম্পদ
আর রুচিহীন চেয়ার,
শুধু চাই
তোমার আপন শক্তিতে ,
তুমি সস্ত্র করো মোদের বার
বার।
অস্ত্র দাও,
নতুন দিনের অস্ত্র দাও যুদ্ধ
করিবার,
যুদ্ধের ময়দানেই ফয়সালা হবে
হে স্বদেশ তুমি কার ?
বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন প্রসঙ্গ, প্রেক্ষাপট এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সূত্র ধরে লেখা বাঙ্গালীর একুশে পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়গুলো এই সাইটটিতে সংরক্ষণ করার কাজ চলছে:
একটি দেশ
বা সমাজের সকল অন্যায় –অবিচার এবং নীতি- আদর্শ-মানবিকগুণাবলি সহ সকল ক্ষেত্রে সাধারণ
মানুষের অনুপ্রেরণার , ভরসা এবং বিশ্বাসের একমাত্র অবল্বন হলেন দেশ ও সমাজের নেতাদের
। নেতাদের চরিত্র ও আদর্শ শান্তির হলেই দেশের ও দেশের মানুষের শান্তি বাস্তবায়ন হয়।
কিন্তু ২০১৩ সালে অক্টোবরের আগে ও পরে একটি ব্যাপক সময় ধরে নির্বাচন নিয়ে দেশের কান্ডারি
আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের অসহযোগিতা এবং গদি দখলের জালাও পুরাও কর্মসূচি এবং দেশের সাধারণ
মানুষকে জিম্মি করে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশের সার্বিক অবস্থায় নেতাদের প্রতি
এবং দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে উধাসিনতার প্রতি উদ্দ্যেশ করেই প্রকাশিত হয়
বাঙ্গালীর একুশের এই সম্পাদকীয়:
গুটিয়ে আর রইবি কত?
হে নেতা তুমি মন্ত কেন? লক্ষ কোটি বাঙ্গালীর হাহাকার
শুনেও হে নেতা তুমি মন্ত কেন? হাজার বছরের শোষিত এই জাতিকে অধিকার আর দায়িত্ববোধের
মন্ত্র দিয়ে, মুক্তির চেতনায় অদম্য সাহসী আর প্রবল সংগ্রামী করে গড়ে তোল না কেন?
বুঝেছি তুমি আসলে
নেতা নও। আমরাই নেতা পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি। নয় ছয়ের বেষ্টনিতে বন্ধি হয়ে, আত্ম শাসনের পরিবর্তে আমরা দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়েছি। আজ আমরা
যে সমস্ত নেতাদের তোয়াজ- তোষামোদ করছি তারা নিজেরাইত দাসত্বের শৃংখল থেকে মুক্ত হতে
পারেনি। তাহলে তাদের তাবেদারি করে আমরা কিভাবে স্বাধীনতা বা মুক্তি পেতে পারি? তা-কি
হয় কখনো? কোথাও কি তা হয়েছে? এর উত্তর না। কোথাও কখনো তা হয়নি। হচ্ছে না, হবেও না।
দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে আমরা কাম, ক্রোধ, সম্পত্তির লোভ, হিংসা, ঘৃণা, মায়া, মোহ
ও হিংস্র জানুয়ারের জগতে ঘুর পাক খাচ্চি। আত্ম - শাসনে সফল নেতৃত্বের নির্দেশিত নিয়ম
নীতি ব্যতীত জানুয়ারের জগতে আবদ্ধ ঘুরপাক থেকে মুক্তির দ্বিতীয় আর কোন পথ খুলা নেই।
আমরা আমাদের অধিকার ও দায়িত্ববোধে জাগ্রত নয়। তাই এই গণতান্ত্রিক
সমাজ ব্যবস্থায় নেতা হিসেবে দায়িত্ব ও ক্ষমতা দেওয়ার কোন একটি নির্বাচন এলেই দেখা যায়
লুটেরা - খুনী ও ধর্ষণকারী- বদমাইশদে চরিত্রও ফুল আর ফলের মত পবিত্র হয়ে যায়। একে কি
বলব? চমৎকার না হাস্যকর!
মানুষ যতদিন পর্যন্ত শিক্ষায়, স্বভাবে ও কর্মে মানুষের
চরিত্র অর্জন না করবে, ভালকে ভাল, মন্দকে মন্দ আর শোষণে সোচ্চার হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে
নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে সরাসরি সক্রিয় ভূমিকা পালন না করবে, ততদিন পর্যন্ত
দাসত্বের শৃঙ্খলের মধ্যে আবদ্ধ মানুষ শিয়াল, কুকুর আর ছাগল- স্বভাবের নেতাদের ছতুরতা,
হিংস্রতা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে না- এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান বলছে, প্রজাতন্ত্রের
মালিক জনগণ। কিন্তু আমরা জনগণ কি আমাদের অধিকার ও দায়িত্ববোধে জাগ্রত? যদি জাগ্রত হতাম
তাহলে লুটেরা, আত্মকেন্দ্রীক, ক্ষমতালোভী, স্বার্থপর ভোগ অপচয়ে পশু স্বভাবের নেতাদের
জিজ্ঞেস করতে পারতাম;- ‘আমাদের ভোটে এমপি - মন্ত্রি হয়ে আমাদেরই কষ্টার্জিত আয়ের অর্থ
দিয়ে মৌজ মাস্তি করছিস আবার আমাদেরকেই মারছিস, হুমকি ধামকি এই ক্ষমতা ও আস্পর্ধা তোদের
কে দিয়েছে? দেশ ও দশের ভোগান্তির সৃষ্টি করে শুধুই ক্ষমতার মোহের রীতি নীতির দোহায়
দিয়ে এই সমস্ত নেতারা যে চিৎকারটা করছে এটা‘ত নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে কুকুরের ঘেও
ঘেও আর বিড়ালের মেঁও মেঁও। এটা আবার যোগ্য নেতৃত্বের নীতি বা আদর্শের রাজনীতি হয় কি
করে?
সব বাঁধা নির্ভয়ে পিছু ফেলে
অদম্য সাহস আর প্রবল সংগ্রামে আমরা এগিয়ে যাবই শ্বাশত মুক্তির
পানে, তাইতো নেমেছি, “যোগ্য নীতি ও নেতৃত্বের সন্ধানে”। সন্ধানের সময়টা একুশ শতক, পরিচয়টা
জাতে বাঙালি আর তাগিদটা, বায়ান্নের অমর একুশে। আত্মবিকাশে মৃত্যুটা নিশ্চিত জেনেও মাথা উঁচু করে পথ চলে যে, তাদেরই নাম “বাঙ্গালীর একুশে”
মৃত্যুর হাত থেকে পালিয়ে বেঁচে গেছে কে কবে!
স্থানীয়-জাতীয়
ও আর্ন্তজাতিক রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক আগ্রাসন এবং মুসলমানদের সুমহান ত্যাগের কোরবানির নামে নিজেদের আমিত্ব ও বাহাদুরি প্রকাশের বাস্থবতার
প্রসঙ্গে: ২০১৪ সালের অক্টোবরে বাঙ্গালীর একুশে পত্রিকায় সম্পপাদকীয়:
ছলে-বলে এবং কৌশলে
আমরা শিখে আসছি এবং আমাদেরকে শেখানো হচ্ছে যে, আমাদেরকে
পারতে হবে “ছলে-বলে এবং কৌশলে।” আমাদের নেতা এবং আমাদের সমাজ পতিদের স্বভাবে এবং চরিত্রে
আজও এই পদ্ধতিটি প্রকট হয়ে আছে। বিশেষ করে আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এমনকি আর্ন্তজাতিক
রাজনীতিতেও “ছলে-বলে এবং কৌশলে” কোনো কিছু আদায় করার এই পদ্ধতি বা স্বভাব এবং চরিত্রটি
লালন করা হচ্ছে সর্বশক্তি দিয়ে। আর এই স্বভাব এবং চরিত্রের কারণেই আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থায়
আত্মঘাতি বা আত্মহত্যার আকার ধারণ করেছে, আস্থাহীনতার সংস্কৃতি। আমরা আজ এমন এক জায়গায়
এসে দাড়িয়েছি যেখানে কেউ’ই আর কারোর উপর কোনো আস্থা রাখতে পারছিনা। নেতারা আস্থা রাখতে
পারছে না, জনগণের উপর - এমনকি অন্য নেতাদের উপরও। জনগণ নেতৃত্বের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে
তমাশাছন্ন হয়ে পড়েছে। পিতা আস্থা হারিয়ে বসে আছে তার পুত্রের উপর। পুত্র আস্থা রাখতে
পারছেনা- পিতার উপর। ভাই, আস্থা তুলে নিয়েছে ভাইয়ের উপর থেকে। বোন আস্থা হারিয়েছে বোনের।
মা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে মেয়ের । বন্ধু আস্থা রাখতে পারছে না বন্ধুর। মানুষের আস্থা
কি- আছে মানুষের উপর? কতটুকু আছে তা চলার পথে টের পাওয়া যায়।
এই আস্থাহীনতা আমাদেরকে অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে। এর দ্বারা
আমরা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছি হিংসা-ঘৃণা সহ আরো অনেক কিছুর। এই আস্থাহীনতা মানুষকে মানুষের
কাতার থেকে পশুর কাতারে নামিয়ে আনছে। সংক্রামক রোগের মত এই আস্থাহীনতা আমাদের জাতীয়
জীবনে মহামারি আকার ধারন করেছে। কথা হল কেন এই আস্থাহীনতা? এর কারণ আমাদের কোনো কিছু
করার বা পারার যে পদ্ধতি “ছল-বল এবং কৌশল” এই পদ্ধতির মধ্যে গলদ আছে। যে পদ্ধতি
……… পিতার প্রতি পুত্রের, মায়ের প্রতি মেয়ের, ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের, বন্ধুর প্রতি বন্ধুর
সর্বোপরি মানুষের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার জন্ম দেয় সেই পদ্ধতি বা স্বভাব চরিত্র
মনুষত্বের হতে পারে না- তা নিঃসন্দেহে পশুত্বের। এই পশুর মত পশুত্বের পারার এবং করার
পদ্ধতি থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। সুমহান স্রষ্টার সৃষ্টিজগতের সেরা আমরা “আশরাফুল
মাখলুকাত”। তাই “ছলে-বলে এবং কৌশলে” পারা আমাদের পদ্ধতি নয়। আমাদেরকে পারতে হবে –জ্ঞান-প্রজ্ঞা-মননে
এবং সৃজনে।
দরকার তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ সৎ নেতৃত্বের
বিশ্বের
সকল রাষ্ট্রে এবং সমাজে বিভিন্ন বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে বিভিন্ন সংগঠন। যেমন- অর্থনৈতিক সংগঠন বা ব্যবসায়ীদের সংগঠন, সাংস্কৃতিক
সংগঠন যা একটি সমাজের কৃষ্টি সংস্কৃতির ধারক বাহক হিসেবে কাজ করে।সহিত্য সংগঠন যা দেশ ও সমাজের সাহিত্য চর্চার কাজটি
করে থাকে। ধর্মীয় সংগঠন যা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত। খেলাধূলার সংগঠন বা স্পোর্টিং ক্লাব এবং রাজনৈতিক সংগঠন যা
জনগণের অধিকার আদায় এবং বিভিন্ন তন্ত্রের বা মতবাদের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার
লক্ষে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্রে এবং যে কোন সমাজ ব্যবস্থায়
এই সমস্ত সংগঠনের অস্তিত্ব এবং তৎপরতা রয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্র এবং সমাজ সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না।রাজনৈতিক সংগঠনগুলো রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের অধিকার
এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে বিধায় জনগণের ভাল জীবন মান এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের
চিত্র (মেনুফেষ্টো বা ইশতেহার)তুলে ধরে এই ইস্যূতে তারা জনগণের কাছ থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দাবি করে।গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জনগণ রাজনৈতিক সংগঠন
গুলোকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দেয় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে।বর্তমান বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা
বা সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন হল তিনটি যথা- (১) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (২) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) (৩) জাতীয় পার্টি। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় এই তিনটি রাজনৈতিক সংগঠনেরই তৃণমূল
বা একেবারে গ্রাম ওয়ার্ড, পাড়া, মহল্লা পর্যন্ত নেতা, কর্মী সমর্থক এবং কমিটি রয়েছে।এছাড়াও বাংলাদেশে তালিকা ভুক্ত রাজনৈতিক দল রয়েছে-৩৮টি।তালিকা ভুক্ত ছাড়াও কিছু বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক
সংগঠন রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সকল রাজনৈতিক দলগুলি বেশ কয়েক
বছর যাবৎ দুটি জুটে বিভক্ত হয়ে নির্বাচন এবং ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করছে।ফলে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের
অধিকার এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া এবং সরকার গঠন করার
পরিবর্তে নিজেদের মধ্যে জুট গঠেণ এবং বিভিন্ন কৌশল খাটিয়েই ক্ষমাতায় যাওয়ার রাজনীতিটা
করছে।ফলে জুট
বদ্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিসহ গোটা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটি দাড়িয়েছে জনগণের একটি
অপছন্দনীয় ব্যপার।তাই বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে পারস্পারিক হসযোগীতা ও জাতীয় স্বার্থে একে
অন্যের সমর্থনের পরিবর্তে বিরাজ করছে অসহযোগীতা এবং সন্দেহ ও চরম অসমর্থন। তাই আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে বার বারই সৃষ্টি হচ্ছে সংকট ও সহিংসতার
এবং সন্দেহের সংস্কৃতি। সন্দেহটা হল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গিয়ে লটা-পাট করতে পারা না পারা সংক্রান্ত।তাই দেখা যায় আমাদের জাতীয় রাজনীতির হাল ধরে আছে
যে সমস্ত নেতাগণ আদর্শের রাজনীতি থেকে তারেদ বিচ্যুতি ঘটেছে।নতুন দিনের রাজনীতির নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করতে
যে পারস্পারিক বিশ্বাস, জাতীয় স্বর্থে ঐক্যমতের উপলদ্ধি এবং তথ্য ও প্রযুক্তিজ্ঞান দরকার সেই যোগ্যতা
তারা অর্জন করতে পারেনি।তাদের পক্ষে এই যোগ্যতা অর্জন করার সম্ভাবনাও নাই।তাই গতানুগতিক রাজনীতির ধ্বংস স্তুপের উপরই প্রতিষ্ঠিত
হবে -নতুন দিনের রাজনীতি যে দুইটি
জুট বাংলাদেশের রাজনীতির ভাঙ্গাগড়ার কাজটি করছে তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে “আওয়ামী লীগ” এবং “বিএনপি”। আর বাদবাকি যারা তারা প্রায় সবাই এই দুই দলের যে কোন একটির সাথে
তালমিলিয়ে হ্যাঁ হ্যাঁ বা ব্যাঁ ব্যাঁ করছে।মূলত এই দুইটি দল বার্তমান বাংলোদেশের রাজনীতিতে
গণতান্ত্রিক সৃজনশীল নেতৃত্বের বিকাশের পথ সিলগালা করে দিয়ে পারিবারিক দুইটি প্লাটফর্ম
তৈরি করে নিয়েছে।ফলে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে বড়মাপের কোন নেতার সৃষ্টি না হয়ে দুই পরিবারের আশির্বাদ
প্রত্যাশী একদল প্রতারক শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতারক শ্রেনীই বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে
দাড়িয়েছে।নতুন দিনের রাজনীতীর জন্য আমাদের দরকার জনগণের আশির্বাদ পুষ্ট যোগ্য ও তথ্যপ্রযুক্তিতে
দক্ষ সৎ নেতৃত্বের। তা কিভাবে সম্ভব? কাদের দ্বারা সম্ভব?
২০১৩ এর ডিসেম্বর। দশম জাতিয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক কাল।নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিপুল সংখ্যক সাংসদ নির্বাচিত হয়ে যায়। এক দিকে যুদ্ধপরাধীদের বিচার ইস্যূতে নানান কর্মসূচি অপর দিকে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রক্তাক্ত রাজধানির রাজ পথ সহ গোটা গ্রাম বাংলা। তখনকার এক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে জানগণের করনীয় সম্পর্কে বাঙ্গালীর একুশের এই সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়।
কর্মবিমুখ ও উদাসীনদের হতে সাবধান!!
২০১৩ এর ডিসেম্বর। দশম জাতিয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক কাল।নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিপুল সংখ্যক সাংসদ নির্বাচিত হয়ে যায়। এক দিকে যুদ্ধপরাধীদের বিচার ইস্যূতে নানান কর্মসূচি অপর দিকে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রক্তাক্ত রাজধানির রাজ পথ সহ গোটা গ্রাম বাংলা। তখনকার এক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে জানগণের করনীয় সম্পর্কে বাঙ্গালীর একুশের এই সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচনের নতুন রেকর্ড হল অর্জিত,
১৫৪জন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত। বাংলাদেশে তারানকোর ৬দিনের সফর, ভবিষ্যত
রাজনীতির প্রেক্ষাপটের দিয়েছে অনেক খবর। সাদা-কালো বিবেদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী নেতা
নেলসন ম্যান্ডেলার চলে যাওয়া, বিশ্ব্বাসী হারাল বিরল এক প্রতিভা, বিশ্ব বাসীর কাছে
থেকে তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা। কার্যকর হল মানবতা বিরোধী অপরাধের কুখ্যাত
অপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি, পৃথিবীতে আর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল জাতির চাওয়া পাওয়ার
বিরুদ্ধে করলে রাজনীতি এই হল তার শাস্তি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের
মত বদলের দেখে আলামত, জনগণ স্থির রাখতে পারছে না, নেতৃত্বের প্রতি নিজেদের মতামত। ১৮দলীয়
জোটের লাগাতার অবরোধের ফাকে ফাকে হরতাল কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রাখা হচ্ছে কেমন
করে বাড়িয়ে দেওয়া যায় জনগণের দূর্ভোগ আর দুর্গতিকে। সব মিলিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে
নিয়ে সরকারি দলের নির্বাচন এবং বিরোধী দলের নিরপক্ষে সরকারের বৈধতা অর্জনের লাড়াইয়ের
অন্তরালে চলছে রণ প্রস্তুতি। শেষ পর্যন্ত কি হয় তা বোঝতে অপেক্ষা করছে সমগ্র জাতি।
কেউ বলছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হলেও সরকার টিকবেনা
বেশি দিন। কারো কারো মতে, দেশ দাবিত হবে জঙ্গীবাদের দিকে দিন দিন। টক-শো’তে বসে কিছু
আতেল করছে বড্ড বাড়াবাড়ি অভিমত দিচ্ছে, যে কোনো মুহূর্তে হতে পারে দেশে জরুরী অবস্থা
জারি। কিছু নিরিহ বুদ্ধিজীবীরা করছে আহাজারি, আমাদের অভ্যন্তরিন বিষয় নিয়ে বানকিমুন,
জনকেরি, অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো, ব্যারোনেস ওয়ার্সী, উইলিয়াম হানা ড্যান ডব্লিউ
মজিনা, সুজাতা সিং আর নিশা দেশাই বিসওয়ালরা কেন করবে মাতাব্বরী।
এসবের কোনো ব্যাখ্যাতেই আমি যাব না। সুমহান স্বাধীনতা
যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দৃঢ় প্রত্যয়ী একটি জাতির বিজয়ের মাসে আমি শুধু বলতে চাই, আজ
আমাদের একটি জিনিস সতর্কতার সাথে মনে রাখতে হবে। যারা উদাসীন এবং কর্মবিমুখ তাদের কাছ
থেকে এমনকি তাদের ফালতু বক্তব্য থেকেও আমাদের সাবধানে দূরে থাকতে হবে। উদাসীনরা দেশ
ও সমাজের সংক্রামক রোগ ব্যাধীর ন্যায় এরা প্রতিনিয়ত মানুষের সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে বিলুপ্ত
করে দেয়। তাদের সম্পর্কে বলা যায়, এরা অলস, অকৃতজ্ঞ, বাচাল, কপট, বিপদ এড়ানোর জন্য
ব্যগ্র, অর্থলোভী। যতদিন তুমি তাদে উপকারে লাগবে বা বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের
সৃষ্ট অবস্থানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেবে ততদিন পর্যন্ত তারা তোমার জুতাটি পর্যন্ত
পালিশ করে দেবে। দেশপ্রেম আর অন্যায়ের প্রতিবাদে রুখে দাড়ানো এখানে অবান্তর। কারণ তাদের
অবস্থান ন্যায়ের প্লাটফর্মে প্রতিষ্ঠিত নয়।
এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ যে, এই সময়ে দেশ ও জাতি
সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতার নতুন এক ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে সময়ের সাহসী এক সংস্কারের
দিকে যাচ্ছে, যা অধিকতর কষ্টসাধ্য, ঝুঁকিপূর্ণ এবং অধিকতর বিপদজ্জনক। এই অবস্থায় যা
হয় সংস্কার সাধকগণ পুরাতন ব্যবস্থার দরুন সুবিধা লাভকারীদের সকলকেই শক্র হিসেবে পান
বা পাচ্ছেন আর নতুন ব্যবস্থার সুবাধে সুবিধা লাভকারীদের পান বা পাচ্ছেন ঐকান্তিকতাবিহীন
নড়বড়ে সমর্থক হিসেবে। ইতিহাস বলে এই ব্যবস্থায় সফলতার জন্য অনুরোধ এবং বাধ্য এই দুইটি
পদ্ধতি জড়িত। প্রথম পদ্ধতির দ্বারা সাফল্য অর্জন অসম্ভব। ইতিহাস দ্বারা যা প্রমাণীত
দ্বিতীয় পদ্ধতিতেই বিজয় অর্জিত হয়েছে।
আরেকটি অত্যন্ত জটিল ব্যাপার হচ্ছে, জনগণকে বুঝানো
খুবই সহজ কিন্তু অল্পে অসন্তোষ্ট এবং গোজবে আকৃষ্ট হওয়ার কারণে বোঝটা জিইয়ে রাখার ঝামেলাটা
অনেক। তাই সমাজ উত্তরণের সংস্কারের পথটা রচনা অসুবিধা বহুল আর দুনিয়ার যত বিপদ-আপদ
সব এই পথেই এসে পড়ে। আগামি দিনগুলোতে চুড়ান্ত মুক্তি অর্জনের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার
জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
রাজনৈতিক | অর্থনৈতিক | আন্তর্জাতিক | সামাজিক |
No comments:
Post a Comment