স্বৈরতন্ত্র:
স্বৈরতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা
স্বৈরতন্ত্রের আরেক নাম হল একনায়কতন্ত্র। একজনের শাসন ব্যবস্থার নামই হল স্বৈরতন্ত্র।
স্বৈরতন্ত্র হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তির বিশেষ শাসন ব্যবস্থা যিনি রাষ্ট্রের জনগণ, সংবিধান,
আইনের রীতি- নীতি অগ্রাহ্য করে এককভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এবং তার একক সিদ্ধান্তে
ও নির্দেশে দেশের শাসন কার্য পরিচালিত হয়। যখন কোনো রাষ্ট্রে এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত
ক্ষমতার মাধ্যমে শাসনের সকল কাজ সম্পন্ন হয়, তখনই তাকে স্বৈরতন্ত্র বলা হয়। স্বৈরতান্তিক
শাসকদের প্রথম ক্ষমতারোহন সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হতে পারে কিংবা বলপূর্বকও হতে পারে। কিন্তু যখন
রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনায় রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে নিজের ইচ্ছা মত পরিচালনার জন্য
অধীনস্থ করে বা বাধ্য করে তখনই তাকে স্বৈরতান্ত্রিক শাসক এবং শাসন ব্যবস্থাকে স্বৈরতন্ত্র বলা হয়। বলা হয়ে
থাকে জনগণই একজন শাসককে স্বৈরতান্ত্রিক হওয়ার পথ সুগম করে দেয় বা উৎসাহিত করে। কথায়
আছে-“তোয়াজ তোষামোদ মানুষকে চারিত্রিকভাবে বদলিয়ে দেয়।” খাঁটি বাংলায় যাকে ‘তেল মারা
বালা হয়’। তোষামোদকারিরা যখন নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ আদায় করার জন্য একজন শাসককে তোয়াজ
তোষামোদ করতে থাকে আর শাসক যখন এই তোয়াজ- তোষামোদ গ্রহণ করে নিজের একক শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা
করতে চাই তখনই সেই শাসক স্বৈরশাসকে পরিণত হয়।
বিশ্বের এযাবৎ কালের স্বৈর শাসকগণ হলেন: ……
No comments:
Post a Comment