Pages

  • কন্ট্রোল প্যানেল
  • সম্পাদক
  • প্রকল্প
  • শিক্ষা
  • ব্যক্তিত্ব
  • ইনকাম
  • ফটো গ্যালারি
  • মতবাদ
  • মোবাইল
  • আন্তর্জাতিক






    রোহিঙ্গা গণহত্যা ও বিশ্ব মানবতর বিপর্যয়ে বিশ্বনেতাদের করণীয়ঃ 

    এই বর্বরতা, এই গণহত্যা, এই মহাপাপের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ছাড়া বিকল্প নাই আর কিছুর।
    মিয়ানমার রাষ্ট্র, সরকার ও সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের দ্বারা গঠিত বিশ্ব সভ্যতার এই বিশ্বায়নের যুগে সংগঠিত এই অমানবিক গণহত্যার আর কোনো শান্তি প্রিয় সমাধান নেই।

    যেহেতু নিরীহ জনগণের উপর ইতিহাসের এই অমানবিক গণহত্যাটি সংগঠিত হয়েছে মিয়ানমার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, সরকারের নির্দেশে, সেনাবাহিনীর মদদে এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কতিপয় অনুসারী নামধারীদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে।

    সেইহেতু বর্তমান বিশ্বে মিয়ানমার নির্বিচারে মানুষ হত্যাকারি একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র, মিয়ানমারের বর্তমান সরকারও একটি সন্ত্রাসী সরকার, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও একটি সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনও অসভ্য, সন্ত্রাসী।

    তারা বিশ্বমানবতার সম্পৃতি বিনষ্টকারি ও মানব সম্প্রদায়ের নৈতিক ভারসাম্য বিনষ্টকারি। তারা অমানবিক গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি ধ্বংসযজ্ঞকারি এবং বিশ্বশান্তির বিপর্যয় সৃষ্টিকারি  একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ও সম্প্রদায়।

    বিশ্ব মানবতার এই বিপর্যয়ের বিচারই এখন একমাত্র করনীয়, তা না হলে এই বিশ্ব মুক্তি পাবেনা বিশ্ব মনবতার ভয়াবহ বিপর্যয়ের মহাঅভিশাপ থেকে। আর এই বিচারের শুধু মাত্র দুইটিই রাস্তা আছে।

    এর একটি হল অপরাধীদের আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাড়করিয়ে এই অমানবিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান এবং নির্যাতিতদের ক্ষতিপুরণসহ তাদের নিরাপদ পুর্নরবাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।

    অপরটি হল বিশ্ব মানবতার পতাকাবাহি নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্র ও জাতিসমূহ কতৃর্ক অপরাধী রাষ্ট্র, সরকার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ চালিয়ে অপরাধীদের শায়েস্তা করে সেখানে বঞ্চিত, নির্যাতিতদের সুপ্রিতিষ্ঠা করা। এর বাহিরে এখন আর কোনো পন্থায় সমাধানের বৈধতা নেই।

    এখন যারা বর্বর গণহত্যার বিচারের বাহিরে এই বর্বরদের সাথে ‘শান্তিপ্রিয় সমাধান, শান্তিপ্রিয় সমাধান’ বলে চিৎকার করছেন, তাদের ভিতরেও গলদ রয়েছে। সংগঠিত অপরাধের শাস্তি ছাড়া নিস্তারের সমাধান যারা খুঁজছেন তারা বিশ্ব মানবতার পক্ষে এই কথা বলার এমনকি ভাবারও কোনো সুযোগ আর নেই।

    Doing of world leaders in Rohingya massacre and world humanitarian crises 

    This barbarism, this genocide, has no alternative except for exemplary judgment of this moral sin.
    There is no peace-loving solution to this inhuman genocide organized in the era of globalization of the world civilization made by Myanmar state, government and army and Buddhist terrorists.
    Since this inhuman genocide has been organized on innocent people, by the participation of Myanmar state patronage, by the government's direction, by the support of the army and by the participation of some of the followers of the Buddhist community. That is why in the present world, the killers of arbitrary people in Myanmar are a terrorist state, the current government of Myanmar is a terrorist government, Myanmar army is also a terrorist army, people of Buddhist community participating in massacre are also savage, terrorists.
    They destroy the world's human rights and destroy the moral balance of the human community. They are a terrorist state and community that creates inhuman genocide, arson, destruction of civilians' homes and disasters of world peace.

    The judgment of this humanity's disaster is only to be done, otherwise the world will be released from the great disaster of the world's mindset.

    And there are only two roads in this trial. One of these is the international court of the perpetrators, giving exemplary punishment to those involved in the inhuman killing and taking appropriate measures to secure their rehabilitation, including compensation for the victims.
    The other is that the leaders of the world humanity, the state and the nations, through the united war against the government and the concerned, and by punishing the criminals, depriving them, treating the good of the oppressed. There is no validity in any way out of nowhere.

    Now those who are shouting 'The peace-loving solution, peace-loving solution' with these barbarians out of the barbaric genocide trial, there is a fall in them. There is no chance of even thinking about the solution to the world's humanity, who are looking for solutions to save lives without punishment of organized crime.



    রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় নেতৃত্বের সংকটে বর্তমান বিশ্ব
    রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় নেতৃত্বের সংকটে বর্তমান বিশ্ব

    বাঙ্গালীর একুশে মতামত: আজ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ ও ধর্মগুলোর দিকে থাকালে মনে হয় “কতগুলো গর্দভ বসে আছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ও ধর্মগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে। জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে বর্তমান বিশ্বের অনেক উন্নতি সাধিত হলেও যোগ্য নেতৃত্বের সংকটে কবলিত আজ বর্তমান বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজ মানবতা বিপর্যস্ত। আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া সহ মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা, ইসরাইলের বেপরোয়া আচরন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্র আতংক, দক্ষিণ চীন সাগরে দুই পরা শক্তির আধিপত্য দ্বন্দ্ব এবং মিয়ানমারে নির্বিচারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান নিধন ও শরণার্থী সংকট বিশ্ব মানবতাকে কাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্ত এই সমস্যাগুলো যাদের মাধ্যমে সমাধান হওয়া সম্ভব বা করা সম্ভব তারা আজ কেউ কিছু বলছেনা। তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা নিয়ে মানবিক অনুভুতিহীন অপদার্থের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে অন্ধের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার কর্তৃক সেই দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর চলছে এক অমানবিক নিধন অভিযান। সেটেলাইট চিত্র, মানবাধিকার সংগঠন, বিবিসি সহ সকল সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এটি প্রমাণীত যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা করছে, শিশুদের জবাই করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুঠ তরাজ চালাচ্ছে।” এর ফলে মাইর খাওয়া রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ
    বাঁচার আকুতি আর মানবতার আর্তি নিয়ে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ডুকতে চাইলেও বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে অবৈধ অনু্প্রবেশকারি হিসেবে আবার ফিরিয়ে দিচ্ছে।

    মায়ানমার সরকার ও ধর্ম কর্তৃক সৃষ্ট এই মানবিক বিপর্যয় এখন আর সাজানো বা বানানো কোনো কাহিনী নয়। বিশ্ববাসির কাছে এখন এর সত্যতা প্রমাণীত।
    রোহিঙ্গা মুসলমানরা যে, মায়ানমারের নাগরিক এর পক্ষে একটি প্রমাণই যথেষ্ট আর তা হল তারা যদি মায়ানমারের নাগরিক না হত তা হলে সামরিক শাসক ১৯৬২ সালে মায়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে কেন রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব হরণ করল। নাগরিক না হলেতো নাগরিকত্ব হরণ করার প্রশ্নই ওঠেনা। সামরিক শাসনের ইতি ঘটিয়ে ২০১৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক সরকারের কর্তব্য ছিল সামরিক সমনের মাধ্যমে অবৈধভাবে একটি দেশের নাগরিকদের হরণ করা নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু তা না করে তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার সেই নাগরিকদের নির্মম, অমানবিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে তাদের নিধন অভিযানে মেতে ওঠেছে। বিশ্বের সকল রাষ্ট্র এবং ধর্ম সমূহের নেতাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন হল এই মানবিক বিপর্যয়ে আপনারা নিরব কেন?
    রাষ্ট্র: বিশ্বের সকল স্বাধীন রাষ্ট্রেরই কিছু সাংবিধানিক বিধান রয়েছে যা ছাড়া কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র চলতে পারে না বা অর্থহীণ। যেমন-(১) স্বরাষ্ট্রনীতি: যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার এবং সার্বিক মঙ্গল নিশ্চিত করা হয়। (২) পর রাষ্ট্রনীতি: অন্যান্য স্বাধীন রাষ্ট্রের সাথে সহযোগীতা, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বিশ্বের কোথাও মানবতার বিপর্যয় ঘটলে সাধ্য অনুসারে তা রক্ষা করতে ঝাপিয়ে পড়া।
    ধর্ম: পৃথিবীর এমন কোনো ধর্ম নেই যেখানে মানবতার বিপর্যয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ নেই।
    তাই, এটা যেমন প্রমাণীত সত্য যে, মায়ানমার সরকার অনৈতিকভাবে সেখানকার নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় অধিকার হরণ করে হত্যাকান্ড চালিয়ে জুলুম করছে এবং সেখানকার ধর্ম বিশ্বাসীগণ নিজ ধর্মের বিধান লঙ্গণ করে মাহা পাপ কাজে লিপ্ত রয়েছে। ঠিক একই ভাবে এটাও নিঃসন্দেহে প্রমাণীত যে, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের এবং ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ পদে কিছু র্দভ বসে আছে- যারা তাদের নিজেদের লিখিত নীতি ও বিশ্বাস বাস্তবায়নে অক্ষম।
     




    No comments:

    Post a Comment